শাহজাহান আহমেদ,মাল্টা থেকে
মাঝে মাঝে চিন্তা করি জীবনটা কি? ডিগ্রি পরীক্ষার এক বৎসর আগে আসল জমি গুলোতে যাদু কাটা নদীর বালিতে সব শেষ।খুব কষ্টে ডিগ্রি পরীক্ষার টাকা জমা দিছি,আমার ডায়না-৩৫ এয়ারগান বিক্রি করে। পাশ করলাম,এরপরেও কত বিপদ মাষ্টার ডিগ্রির পড়ার টাকা। আস্তে আস্তে ব্যবসায় জড়িত হতে থাকি। আমার সিনিয়র বন্ধু আন্দ্রিয়দা কারিতাস এনজিও নিয়ে কাজ করায় তার সাথে সম্পর্ক্ষ আরও ঘনিষ্ট হয় ।কতদিন আমি আন্দ্রিয়দা একসাথে পুরানো দিনে গান ও সাথে চু-খাইতে খাইতে সময় কাটাইয়ছি তার শেষ নাই। মাঝে মাঝে চলে আসত সেলিম এটা অন্যকাহিনী।
১৯৮৮ বন্যা আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ।মোটামুটি লাউড়ের গড় এলাকার সব জমি বালির নিচে চলে যায়। অত্র এলাকায় বাস করা যাবে কিনা,মানুষের মধ্যে এই চিন্তা দানা বাঁধতে শুরু করে। আমাদের গ্রামের সাথে একটা গ্রাম ছিল গারোপাড়া।বেশ কিছু পরিবার এবং এদের স্বতন্ত্র একটি স্কুলও ছিল। বন্যার পরে এরা কেউ বারিক টিলা,আবার কেউ লুবা ছড়া চলে যায়।
মুক্তবুর একটা কমেন্ট করছে আমার ব্যপারে বেশী বলে ফেলছে। প্রাইমারি স্কুলে থেকে আমাদের বন্ধুর গ্রুপ তৈরি হয়ে যায়। ঘাগটিয়া ছিল মামার বাড়ী সেখানে মুক্ত ও সাইদুর মামু,বাদাঘাট সেলিম এবং খুব কাছের একজন বন্ধু আছে মহরম আলী, আবার সবার সাথেই বন্ধু।সে আবার মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। আমাদের গ্রামে এমদাদ,আজিম ও সোবহান ।প্রাইমারি স্কুলে প্রথম শ্রেনীর বন্ধু বাতিন ও লিয়াকত।
আমার এলাকার আবহাওয়া কিন্তূ চরম ব্যতিক্রম , যা অন্য অঞ্চলে নাই। বিশেষ করে ভাদ্র মাস থেকে শুরু হয় উত্তরের বাতাস।
ক্রমশ——-
কমেন্ট করুন